avertisements
Text

বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনি শাখার শ্রদ্ধাঞ্জলী

| প্রকাশ: ১৫ আগস্ট, বুধবার, ২০১৮ | আপডেট: ৩ মে, শুক্রবার, ২০২৪

বাংলাদেশের  স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সিডনি।এই সময় তারা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।

পুস্তস্তবক অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সিডনি নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশ ও জাতির সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে তার আপন মহিমায় প্রতিস্থাপন করা হলে জাতি হিসেবে আমরা সবাই গৌরবান্বিত হবো।


তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশের যথাযথ রূপায়ণই হবে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সর্বোত্তম উপায়। সেই লক্ষ্যে জাতীয় শোক দিবসের প্রতিজ্ঞা হোক- শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।


অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সিডনির উপদেষ্টা ডঃ মাসুদুল হক, সহ সভাপতি ইঞ্জি হুমায়ুন কবির, নির্মল কস্টা, সাধারন সম্পাদক ফয়সাল আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ফুহাদ শিহাব আলী ও এটিএম মুসফিকুর রহমান, ত্রান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ বকুল খান, দপ্তর সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী, প্রচার সম্পাদক শাহজাহান মিলটন, সদস্য একরাম হোসেন সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গত ১৫ আগস্ট, ইতিহাসের বেদনাবিধুর ও বিভীষিকাময় একদিন। ১৯৭৫ সালের এই দিন প্রত্যুষে ঘটেছিল ইতিহাসের সেই কলঙ্কজনক ঘটনা। সেনাবাহিনীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী সৈনিকের হাতে সপরিবারে প্রাণ দিয়েছিলেন বাঙালির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। 

এছাড়া এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে আরিফ, ভাগ্নি বেবি, ভাগ্নে যুবনেতা, সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, ভাগ্নের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৭ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। 

এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। ওই সময় স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে জার্মানিতে সন্তানসহ অবস্থান করছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানাও ছিলেন বড় বোনের সঙ্গে।
 

avertisements