avertisements
Text

নুরুল আজাদের  ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

| প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, রবিবার, ২০১৮ | আপডেট: ৩ মে, শুক্রবার, ২০২৪

আমাদের সমাজে সাধারণ মানুষের মধ্যেই বসবাস করে কিছু অসাধারণ মানুষ, যারা নিজ কর্মক্ষেত্রের বাইরে ও অনেক সৃজনশীল কর্মকান্ড ও সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তারাই এ  সমাজের আলোকিত মানুষ। ঠিক সেই রকম একজন মানুষ ছিলেন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশী কমিউনিটির খুবই প্রিয় মুখ,  প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী সমাজের পথিকৃত কমিউনিটির অন্যতম অভিভাবক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুরুল আজাদ।

১০ সেপ্টেম্বর  নুরুল আজাদের  ২য় প্রয়াণ দিবস। । কিন্তু দেশে বিদেশের অসংখ্য  হূদয়ে রয়ে গেছেন তিনি,  জনহিতকর বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে আলাদা স্হান করে নিয়েছেন।।

 

জননন্দিত,আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করা গুনী ও কর্মপ্রান এই মানুষটি  ২০১৬ সালে ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।  তাঁর ঐ প্রয়াণের সংবাদে পুরো কমিউনিটি নেমে আসে শোকের ছায়া।

সৎ, নির্লোভ বহুমাত্রিক কৃতিত্বের অধিকারী একজন আলোকিত মানুষ, যিনি সারা জীবন অসহায় মানুষ ও সমাজের জন্য নীরবে-নিভৃতে কাজ করে চলেছেন। সমাজকে আলোকিত করার এক মহাকর্মযজ্ঞে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন সারাটি জীবন। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী এ সাদা মনের আলোকিত মানুষটির ছিল সব শ্রেণির মানুষকে আপন করে নেয়ার অসাধারন গুণ । খোলা মনে তিনি সকলের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন।

অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমিয়ে শুরু করেছিলেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা।  যাত্রা শুরু করার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, তাঁকে। স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে গেছেন শীর্ষ পর্যায়ে।  সোনার হরিণের খোঁজে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমানো স্বদেশীদের কর্মসংস্থানেও সবার প্রিয় এ ‘নুরুল আজাদ ভাই’ ছিলেন নির্ভরতার প্রতীক।

অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের পরে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগের সুসংগঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।  তিনি অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।অস্ট্রেলিয়া প্রথম তার নেতৃত্বে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ মেলা যাত্রা শুরু করে। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন গুণী শিল্পীদের নিয়ে তিনি এ মেলা উদযাপন করতেন। খেলাধুলার প্রতি ছিল তার অন্যরকম চাওয়া। নিজে অংশগ্রহণ করে পরবর্তীতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে প্রতি বছর কৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন তিনি যা বর্তমানে নুরুল আজাদ গোল্ডকাপ নামে পরিচিত। অষ্ট্রেলিয়া থেকে বাংলা ভাষার প্রথম পত্রিকা স্বদেশ বার্তা প্রকাশ  তিনি। ১৯৯৯  সালে আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার আমন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়া সফর কালে তার হাতেও স্বদেশ বার্তা পত্রিকা তুলে দেন  নুরুল আজাদ। কচুয়া ফাউন্ডেশন ঢাকা এটি একটি অরাজনৈতিক মানব সেবামূলক সংগঠন। এটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান পৃষ্টপোষকতা ও তিনি। নিজ উপজেলায় প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় তার সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছেন। তিনি একাধারে গরীব দুখী মানুষের আপনজন ও সমাজসেবক  হিসাবে সবার কাছে খুবই প্রিয়জন ও পরিচিত ছিলেন। নুরুল আজাদ কচুয়া উপজেলার একটি নাম, একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সংগঠন, একজন সমাজসেবক সবার শ্রদ্ধা ও ভালবাসার পাত্র হিসাবে নিজেকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। 

 

যান্ত্রিক এ যুগে মানুষ বড়ো আত্মকেন্দ্রিক। নিজের জগত নিয়ে ব্যস্ত হওয়ায় অন্যকিছু নিয়ে ভাবার সময় কারোর নেই। মানুষ যেন ভুলে গেছে গীতার সেই অমৃত বানী “যত্র জীব তত্র শিব” অর্থাৎ স্রষ্টার সৃষ্টির মধ্যেই শিব বা সৃষ্টিকর্তা বিরাজমান । আর সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে ভালবাসলেই স্রষ্টার নৈকট্য লাভ সম্ভব। স্বার্থপর পৃথিবীতে নিজস্বার্থ ছেড়ে নিস্বার্থ হওয়া সাদা মনের মানুষ পাওয়া ভার। কিন্তু এই কঠিন ব্যস্তবতায়ও কিছু মানুষ থাকে যাঁদের জন্যই বোধকরি এগিয়ে যাবার  দৃষ্টান্ত দেখতে পাই। তেমনি একজন আলোকিত ছিলেন মানুষ নুরুল আজাদ।

 

তার ২য় মৃত্যুবার্ষিকীকে স্বদেশ বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর  শ্রদ্ধাঞ্জলি

avertisements